তারা আসে, নীরব চিৎকারে।
অগ্রসারির ছদ্মবেশেঘুরে বেড়ায় জনতার মধ্যখানে।
তাদের চোখে লালসার দাহ,
তাদের হৃদয়ে ষড়যন্ত্রের বিষ।
মুখে তারা মুক্তির কথা বলে,
কিন্তু হাতে বয়ে আনে ধ্বংসের নিশান।
যারা একাত্তরে মাটি আর মানুষের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল,
যুদ্ধের রক্তাক্ত ইতিহাসে যারা বুনেছিল বিশ্বাসঘাতকতার বীজ,
আজ তারা আবার স্বপ্ন দেখছে
বিপ্লবের স্রোতকে কুক্ষিগত করার।
তাদের শিকারের নেশা বদলায়নি,
তারা চায় আলোকে অন্ধকারে ডুবিয়ে দিতে।
তাদের ছদ্মবেশ উন্মোচন করা কঠিন নয়।
তাদের প্রতিটি পদক্ষেপে
তাড়িয়ে বেড়ায় অতীতের কলঙ্ক।
তারা ইতিহাসের পৃষ্ঠায় আজও রক্তাক্ত,
আজও প্রশ্নবিদ্ধ।
তারা ভুলে গেছে, এই মাটির সন্তানেরা
বাঁচতে জানে, মরতে জানে,
আর জানে অন্যায়কে উপড়ে ফেলার কৌশল।
জনতার বিপ্লব কোনো একক দিনের স্লোগান নয়,
এটি শতাব্দীর লালিত স্রোত।
এটি দমন করার সাধ্য
কোনো মুখোশধারীর নেই।
বিপ্লব জানে তার পথে আসবে কাঁটা,
কিন্তু জানে কাঁটা উপড়ে
অরুণ আলো জ্বালানোর কৌশল।
তারা যে হাত বাড়ায়, সেই হাত কাঁপে।
তারা যে স্বপ্ন দেখে, সে স্বপ্ন ভেঙে পড়ে।
এই জনতার শিকড় এত গভীরে,
যে মিথ্যার পাহাড়েও কেঁপে ওঠে মাটি।
অগ্রসারির নামে যারা দখলদারির স্বপ্ন দেখে,
তাদের মুখোশ একদিন টুকরো হবে।
তোমরা যারা নেকড়ে হয়ে আসো,
জনতার শক্তিকে দমাতে চাও,
তোমাদের বলতে চাই—
এই বিপ্লবের আগুন নিভে যাওয়ার নয়।
এটি বারুদ হয়ে জ্বলবে,
তোমাদের ছিন্ন করবে একদিন,
যেমন করে প্রতিটি অন্ধকারকে ছিন্ন করে
নতুন দিনের সূর্য।
কবিতাঃ নেকড়ে এবং বিপ্লব
লেখকঃ আমজাদ হোসাইন