বন্ধু শাকিল। দেশের এই সময়ে আশ্রয় পায় শহরের একটি আবাসিক হোস্টেলে। কিছুদিন লুকিয়ে থাকার পর একদিন। রাত ১১ টা বেজে ৫৫ মিনিট। খুব সন্তর্পনে শাকিল হোস্টেলের কক্ষ থেকে বাইরে বেরিয়ে এল। শীতের রাত। ইতোমধ্যেই দোকান পাট প্রায় সব বন্ধ হয়ে গেছে। হোস্টেল থেকে সামান্য দূরে দু'জন মানুষকে দেখতে পায় শাকিল। ওখানে কিছু চায়ের দোকান খোলা আছে। ওগুলো সারারাত খোলা থাকে। বাইরে বের হতেই একরাশ ঠান্ডা হাওয়া ওকে ঘিরে ধরল। হুডির মধ্যে নিজের হাতের তালু দুটো তাই আরেকটু গুঁজে দিল সে। রাস্তায় যানবাহন তেমন নেই। মানুষজনও না৷ শুধু হঠাৎ দু'একটা হাইওয়ে বাস ও ট্রাক সাঁই সাঁই করে ছুটে গিয়ে যেন রাতের নিরবতাকে কাঁচের গ্লাসের মতো ভেঙে দিয়ে যাচ্ছে৷
শাকিলের ভয় লাগে। এই শহরে সে নতুন। কখন কে এসে আক্রমণ করে। থাবা বসায়। তারপর রগ কেটে দিয়ে যায়। ছোট বেলায় শুনেছে, রগ কাটার গল্প। শুনেছে, ওরা যখন আসে অগ্রসারির পথ ধরে, তখন ওরা নেকড়ে হয়ে যায়। ওরা নীরবে আসে। এসে মুক্তির কথা বলে। কিন্তু হাতে বয়ে আনে ধ্বংসের নিশান। এখন সময় ওদের। রাজপথ ওদের৷ এসব ভাবতে ভাবতে ভয়ে কাঁপতে থাকে শাকিল। হুডি থেকে হাতও বের করে না। ঠিক ওই মুহূর্তে শাকিল নিয়তির শিকারে আটকে যায়। সুনসান রাস্তায় একটি প্রাইভেট গাড়ি শাকিলের সামনে এসে দাঁড়ায়। শাকিলকে তড়িঘড়ি করে গাড়িতে তুলে দুর্বৃত্তরা। কিছুক্ষণ পর আবার ওই স্থানেই ফেলে দিয়ে যায়। শাকিলের হাত ও পা থেকে রক্ত বের হচ্ছে। শরীরের বিভিন্ন স্থানের রগগুলো কাটা অবস্থায় দেখতে পেয়েছে সকালের স্থানীয় লোকজন। কেউ জানে না কারা এসব করেছে, সবাই নিশ্চুপ.....