"নিশ্চয়ই আল্লাহ্ ও ফেরেশতাগণ মহানাবীর উপর দরুদ ও সালাম পাঠ করেন। তারপর আল্লাহ্ বান্দাদেরও আদেশ করলেন, অতএব হে বান্দাগণ, তোমরাও তাঁর উপর দরুদ ও সালাম পাঠ কর.."
প্রচন্ড বৃষ্টির মাঝেও একটা কবর খোরা হবে। নিস্তব্ধ অন্ধকার রাত। একাকিত্বে ফেলে সবাই চলে যাবে। নিশ্চল ইন্দ্রীয়, থেমে যাবে বান্দার উপর খোদার অর্পিত দায়িত্ব। তারপর সবাইও অবধারিত গন্তব্যে আগায় যাবে। কেউ থাকবে কি, যার জবানে জারি থাকবে মহানাবীর উপর রহমতে কালাম? না। তরুণ, যুবক, পৌঢ়, বৃদ্ধ যেই হোক, একদিন লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মোহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্ বলতে বলতে কবর গাহে পৌঁছাবে। তখন
কে বলবে হে মহানাবী, "আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক।
ওহ্, "আল্লাহ্ বললেন নিশ্চয়ই ফেরেশতাগণ মহানাবীর উপর দরুদ ও সালাম পাঠ করেন।"ফেরেশতারাও তাহলে দিগ্বিদিক থেকে মহানাবীর দরুদ ও সালাম পাঠ করেন? হ্যাঁ, তারা নিয়োজিত। মনে অনেক প্রশান্তি আসে। রবের কী মায়া! শীতল মায়া। কিন্তু হঠাৎ কোথাও যেন একরাশ গভীর হাহাকারবোধ ডেকে আনে আমার মনে। যেখানে আমার দেশ-বিদেশ, গ্রহ-নক্ষত্র, কূল কায়নাত, ফেরেশতা, আছে যত সৃষ্টি, সবই ধ্বংসশীল। তবে কি আটকা পড়ে যাবে মহানাবীর উপর দরুদ ও সালাম পাঠ? দূরবর্তী এ প্রশ্ন মস্তিষ্কে হাঁকডাক করে। ভাবুক মানুষ বলে এখানে আটকা পড়ে যাই।
কালবৈশাখীর দিনগুলোতে আকাশের দিকে তাকিয়ে ভাবতে থাকি। ঠিক সেই মুহূর্তে আল্লাহ্ বললেন," নিশ্চয়ই আল্লাহ্ মহানাবীর উপর দরুদ ও সালাম পাঠ করেন।" পরপর বিপুল তোড়ে আকাশ থেকে জলের ধারায় সমস্বরে নেমে আসে 'সল্লালল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম'....
আমজাদ হোসাইন